একফালি রোদ - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১১২
কবিতা-১১২ :
একফালি রোদ
পুকুরের জলের ওপর শুয়েছিল একফালি
রোদ।
দৃশ্যটা কার যেন ভালো লাগেনি।
সে জলরং মেঘ দিয়ে ঢেকে দিল রোদের
শরীর।
পৃথিবী ঢেকে গেল মিথ্যার আঁধারে।
কি হলো? প্রশ্ন করলাম
আমি।
আঁধারের ভেতর থেকে ভেসে এলো
মৃতের কন্ঠস্বর।
কিছু হয়নি। ঘুমিয়ে থাকো।
এ কন্ঠস্বর আগেও যেনো কোথায়
শুনেছি। বললাম, বাতাস তো অচিরেই সরিয়ে ফেলবে মেঘ।
না, আমি এমন
আইন করে যাবো, যেন এ মেঘ কেউ সরাতে না পারে।
আইনের কথা কি বাতাস শুনবে?
কেন শুনবে না?
যে ভুল আমার বাপ করেছে সে ভুলের
পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
তুমি কি জানো না, আমার
বাপ এ মসজিদের ইমাম ছিল?
ঠিক করে বলেন তো, ইমাম না
মুয়াজ্জিন?
অন্ধকার থেকে ভেসে এলো, কি সব
যা তা বলছো?
কেন, আপনিই
তো বললেন, ঘোষণাটাও তিনিই দিয়েছিলেন।
তাই বলেছি?
তাহলে তো ঠিকই বলেছি।
তিনিই ইমামতি করেছিলেন।
তার আগে তিনিই আজান দিয়েছেন।
মেঘটা সহসা সরে গেল।
তাকিয়ে দেখি, রোদটা
শুয়ে আছে আগের মতই। পুকুরপাড়ের গোলাপ চারাটায় একটা ফুলও ফুটেছে।
১৬/০৬/২০২০ ৬টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments