আমি একাত্তুর দেখেছি - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০২৪

                  

কবিতা-০২৪ : আমি একাত্তুর দেখেছি

আমি গর্ব করে বলতে পারি,

আমি এক স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী

যে দেখেছে একাত্তর।

যে দেখেছে একটি

জাতির প্রসব বেদনায় কতটা রক্ত ঝরে।

যে শুনেছে জাতির জন্মের প্রথম সুতীব্র চিৎকার।

তার মত গর্বিত আর কেউ নেই।

 

যখন কোন জাতি ঘোষণা দেয়

তার আবির্ভাব ঘটে গেছে পৃথিবীতে,

ইতিহাসে লেখা হয় ঝলোমলো ভোর,

তখন আনন্দের উন্মাদনায় সে কতোটা বিভোর হয়,

যে সে আনন্দের মিছিল দেখেনি

সে কি করে বুঝবে,

কি করে বুঝবে কষ্টের পর মায়ের মুখের

প্রশান্তির পরশ ও তৃপ্তির গভীরতা।

 

আমি গর্বিত, আমি দেখেছি একাত্তর।

আমি গর্বিত, আমি দেখেছি একটি জাতির প্রসব বেদনা।

আমি শুনেছি জন্মের প্রথম সুতীব্র চিৎকার

আমি গর্বিত, আমারই হাত ধরে জন্ম নিয়েছে একটি জাতি।

 

আমি আমার মুখ বেঁধে রাখার জন্য স্বাধীনতা আনিনি।

আমি কালো কাপড়ে আমার চোখ ঢেকে রাখার জন্য স্বাধীনতা আনিনি।

আমি কানে তুলো গুঁজে রাখার জন্য স্বাধীনতা আনিনি।

 

যে আমার মুখ বাঁধতে চায়

সে স্বাধীনতার শত্রু।

যে আমার চোখ ঢাকতে চায়

সে স্বাধীনতার শত্রু।

যে আমাকে কানে তুলো দিতে বলে সে স্বাধীনতার শত্রু।

 

ষোলই ডিসেম্বরের কসম,

একাত্তুরের কসম,

কোন

স্বাধীনতার শত্রুকে আর প্রশ্রয় দেবো না।

ছিনিমিনি খেলতে দেবো না কাউকে আমার স্বাধীনতা নিয়ে।

কেউ আমার স্বাধীনতায় হাত দিলে

সে হাত পুড়িয়ে দেবো।

 

বত্রিশ কোটি হাত এক করে

স্বাধীনতার দুশমনকে জানিয়ে দেবো,

ঈশা খানের বাংলা কোনদিন দিল্লীর বশ্যতা স্বীকার করেনি, করবে না।

পরাজয় মানেনি, মানবে না।

আমরা স্বাধীন ছিলাম,

স্বাধীন আছি, স্বাধীনই থাকবো।

১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.