ঈগলকে উড়তে দাও - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১১৯
কবিতা-১১৯ : ঈগলকে
উড়তে দাও
আমি কবি। আমাকে কখনো বন্দী করার
ইচ্ছা মনেও এনো না।
কারণ, কবিরা
বন্দী হয় না।
তোমার ক্ষমতা, আকাশ
ছোঁয়া
জনপ্রিয়তা, তোমার
সম্পদ, অহংকার, অহমিকা কিছুই আমাকে আকর্ষণ করে না।
আমি রাজপ্রাসাদের চেয়ে
প্রজাপতির পাখনার অনুপম কারুকাজ
দেখার জন্য লালায়িত।
আমার বাসনা শুনে তুমি বলো, পাগল।
আমি বুঝি না, মানুষ
কেন দম্ভ করে।
রাখালের খোলা মাঠে খালি গায়ে
বাঁশি বাজানোর চেয়ে নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত হেরেমে মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে নির্ঘুম সময়
পার করায় কী যে সুখ,
আজো আমি বুঝিনি।
এত এত নিরাপত্তারক্ষী রাখার
কারণ কি তাও আমি বুঝি না।
মানুষের ভালবাসা নিয়ে বিদায়
নেয়ার চেয়ে উপচেপড়া ক্রোধ ও অভিশাপ নিয়ে মরার জন্য মানুষ এত পেরেশান কেন, তাও
বুঝি না।
কই, কাউকে
তো দেখলাম না, আজরাইলকে বশ করতে!
তবে মাটির তলে দুঃসহ জীবন যাপনের
জন্য, অন্যের অধিকারে কেন হাত দাও?
কবিরা স্বাধীন। দয়া করে তাদের
স্বাধীন থাকতে দাও।
কবিদের প্রভু সুরা শোয়ারায়
স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,
"যেখানে অন্যায় দেখবে
সেখানেই প্রতিবাদ করবে"।
কবিরা তাই করে।
কোন পাচাটা মোশাহেব কবি নয়।
কবি কারো শত্রু নয়। সে তার
প্রভুর হুকুম পালন করে মাত্র।
কবি কারো দাস নয়। সে শুধু তার
স্রষ্টার হুকুম পালন করে।
অতএব, কবিকে
গোলাম বানানোর স্বপ্ন মন থেকে মুছে ফেলো।
ঈগলকে উড়তে দাও আকাশ নীলে।
২৫/০৬/২০২০ ১১টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments