জলজোস্না - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ১০৬
কবিতা-১০৬ :
জলজোস্না
জলজোস্নায় রিকসায় ঘুরতে খুব
আরাম।
দেখো না, চাঁদ কি অবাক হয়ে দেখছে আমাদের।
তারকারা ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁক দিয়ে
গাঁয়ের বধুদের মত ওৎসুক নয়নে তাকিয়ে দেখছে, জলজোস্নায় কারা
যায় বিরামপুর?
কি কাজ তাদের ওখানে?
এখন অনেক রাত।
মরুভূমিতে উট এগিয়ে যাচ্ছে
ছন্দতালে।
উটের ওপর বসে আছেন মহানবী। সঙ্গে
প্রিয় সাহাবী। বললেন, কবিতা শোনাও তো!
আমিও রিকসায় বসে বলবো, প্রিয়, কবিতা শোনাও তো।
আকাশে চাঁদ হাসবে। তারকারা
খুনসুটি করবে। তুমি কবিতা পড়বে। আমি শুনবো সে কবিতা।
আমি ভুলে যাবো , মাত্র এক সপ্তাহ আগে আমাদের একমাত্র ছেলেটি মারা গেছে। না না, মারা যায়নি! সে গেছে তার নতুন বাড়িতে। আল্লাহ তাকেই পছন্দ করেছেন। তার বান্দাকে তো তিনি ডাক দিতেই পারেন।
তাতে বন্ধ হয়নি চাঁদের উদয়, বন্ধ হয়নি কোকিলের গান, পুষ্পের জাগরণ। বাঁচতে হলে
যেমন নিঃশ্বাস নিতে হয়, তেমনি মৃত্যু একটি অনিবার্য ঘটনা।
চলো কষ্টগুলো আমরা জলজোসনাকে
দিয়ে দেই।
সাপ যেমন শখ করে পুষতে হয় না,
তেমনি কষ্টকেও বুকের খাঁচায় আটকে
রাখতে হয় না। তাতে কেবল কষ্টই বাড়ে।
তাকিয়ে দেখো, চাঁদের বুকেও কষ্ট আছে।
কিন্তু আমাদের সুখের জন্য সে
কষ্টগুলো লুকিয়ে কি বর্ণালী হাসি হাসছে।
হাসি লুকিয়ে রাখার জিনিস নয়।
আনন্দ লুকিয়ে রাখার জিনিস নয়।
হাসি কান্না, সুখ দুঃখ একই মুদ্রার নাম।
এক পাশে থাকে হাসি, অন্য পাশে কান্না।
যে দুঃখের যত্ন করতে পারে, সুখ এসে তার ঘরেই ডেরা বানায়।
এসো দুঃখগুলো জলজোস্না দিয়ে ধুয়ে
ফেলি।
০৭/০৬/২০২০ ২টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments