অনুকূল বৈরি বাতাস - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০৭১
কবিতা-০৭১ :
অনুকূল বৈরি বাতাস
পৃথিবী বড় অদ্ভুত অভিজ্ঞতার
স্বদেশ।
তুমি ভালবাসায় মগ্ন পুরুষ।
চারদিক থেকে ছুটে আসছে প্রেমের
তীর।
তুমি তোমার হৃদয় দেরাজে সেগুলো
সুচারু বিন্যাসে থরে থরে সাজিয়ে রাখছো।
কিন্তু তুমি জানতেই পারলে না, সেই প্রেমমাখা তীরের ভেতর কয়টা প্রভুত্বের উট দাঁড়িয়ে আছে।
না। সব প্রভুত্বের উট নয়, কখনো কখনো হিংসার সাপ, ঈর্ষার হুলও থাকতে পারে।
কখনো লোভের অজগর।
কখনো ভালবাসার প্রতিশোধ।
কিন্তু আমার সবচে খারাপ লাগে তখন,
যখন দেখি হীনমন্যতার কতিপয়
বিষাক্ত পিঁপড়া আমার বগলের তলে ঢুকে জ্বালাতন করে।
মিছরির ছুরির কি স্বাদ, যে কখনো খায়নি সে বুঝবে না। আমার ছেলেকে আমি যতোই খাওয়াই, পরাই, কেউ আমাকে দানবীর বলবে না।
হ্যাঁ, মানুষ তখনই আমাকে দানবীর বলবে, যখন নিজ সন্তানকে
অভুক্ত রেখে রাস্তার বেওয়ারিশ কিশোরের জন্য খানা নিয়ে আমি ছুটে যাবো।। মহত হবার
এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করে?
মানুষ ভাবে, চৌধুরী বাড়ির শাহজাদা কী আরামেই না আছে। কিন্তু তার ঘরেও যে মাঝে মাঝে চুলা জ্বলে না, সে খবর এক টিকটিকি ছাড়া আর কে জানে!
আজও অদ্ভুত অভিজ্ঞতায় ভাসছে
মানুষ।
যে পানির অপর নাম জীবন, সে পানিতেই ডুবে মরে যাচ্ছে মানবশিশু।
বৃক্ষের ডাল ভেঙে মারা যাচ্ছে মালিকের
সন্তান। কত যে অঘটন।
তারপরও শান্তনা এই, বীজতলায় চারা গজিয়েছে।
কোন একদিন এই চারা মহীরুহ হবে।
হবে? নাকি তারাও সমৃদ্ধ হবে নতুন কোন অভিজ্ঞতায়?
নাকি মানুষ কোন অস্থির প্রণী, বৃষ্টি হয়নি বলে, মেঘের আগেই যে আত্মহত্যা করে বসে।
ঐ শোন, অনুকূল বৈরী বাতাসে কিছু কিছু কান্নার ধ্বনি মাঝে মাঝেই ভেসে আসছে।
কবে বনায়ন হবে সে আশায় তুমি
পুকুর পাড়ের নেবু বন কেটে ফেলবে?
২/০৩/২০২০ ৬টা
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments