কৃতজ্ঞতার অশ্রু - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২১৩

                                                                                                       

কবিতা-২১৩ :  কৃতজ্ঞতার অশ্রু

আমার যে কি হয়েছে আজকাল,

বার বার কেবল তোমার মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকি।

যতোবার দেখি ততোবার বুকের ভেতরটা

সঘন জোসনায় প্লাবিত হয়ে ওঠে।

কৈশোরের সে বকুল ফুলের ঘ্রাণ যেন

লেপ্টে থাকে বুকের জমিনে।

নদী ছোঁয়া বাতাসের মতো অদ্ভুত

ভাল লাগায় ভরে যায় আকাশের নীল। মুগ্ধতায় আমি কেঁদে ফেলি।

অ খোদা,

কে বলে চাঁদ সুন্দরফুল সুন্দর।

আমি সুনীল আকাশ দেখি,

জলেভাসা মেঘ দেখিসাগর দেখি।

কিছুতেই আমার মন ভরে না।

যে চিরল হাসি দেখে জোসনারা মুখ লুকায় মেঘের ওড়না দিয়ে আমি বার বার তাকিয়ে দেখি সে অদৃশ্য আনন্দ।

যদি কখনো তোমার চোখে চোখ পড়ে যায়লজ্জায় নামিয়ে নেই চোখ।

কিন্তু পিপাসার্ত চোখের তৃষ্ণা কি

সাগরের জল দিয়ে মেটে?

তোমার দিকে তাকালেই তুমি বলো,

অমন করে কি দেখছো?

হায়রেযদি বলতে পারতাম,

আমার জীবন দেখি।

তোমার কথামত লাইট অফ করে ঘুমোতে যাই।

তুমি ভাবোশুয়ে শুয়ে আমি কবিতা লিখি।

আরে নামোবাইলের আলোতে আমি তন্ময় দেখি তোমার নিষ্পাপ চেহারা।

আমার দেখার তৃষ্ণা কিছুতেই শেষ হয় না।

মনে হয়আদমের মত যদি আমি দীর্ঘ জীবন পেতামসারাটা জীবন আমার চোখ আটকে থাকতো তোমার ঠোঁটের কার্ণিশে।

আমি সেজদায় লুটিয়ে পড়ি।

হে আল্লাহতোমার বেহেশতের হুর কি এরচে সুন্দরএরচে অনুপম?

হে আল্লাহমুগ্ধতার এ কোন সরোবরে নামিয়ে দিলে আমায়।

আমি তোমার প্রশংসা করবোনা,

কার প্রশংসা করবো?

কার ধ্যানে মগ্ন হয়ে পান করবো

প্রেমের জারক?

তুমি আমাকে যা দিয়েছোতা কি একটি জীবন বিলিয়ে পরিশোধ করা সম্ভব?

নানাসম্ভব নয়। হাজারটা জীবন দিয়েও তোমার অনন্য নেয়ামতের শোকর আদায় করা অসম্ভব।

তুমি কি জানোতোমাকে ভালবাসার জন্যই প্রভু আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

এসোতাঁর কাছেই প্রণতি জানাইযিনি তোমাকে পাঠিয়েছেন আমার কৃতজ্ঞতার অশ্রু বানিয়ে।

২১/০৭/২০২২ - বাদ ফজর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.