জাহান্নামের কীট - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২১৯

                                                                                                        

কবিতা-২১৯ : জাহান্নামের কীট

এজিদের কথা মনে আছে?

মনে আছে এজিদের কথা?

যার বাহিনীতে ছিল

শত শত কোরানে হাফেজ।

যে রাসূলের দৌহিত্র ইমামকে

নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।

অতএব, মুসলমান হলেই সে ইসলামের স্বজন হয়ে যায় না।

এমনকি সে কোরানে হাফেজ হলেও।

রাসূলের ওফাতের পর

আসমানের তারার মতই নিষ্পাপ

চার খলিফার তিনজনই

মুসলমানের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

অর্ধ পৃথিবীর শাসক ওমর রা.

নিহত হন মসজিদের ভেতরে।

আর তার হত্যাকারী ছিল

একজন চৌকস মুসল্লি।

অতএব, মুসল্লি হলেই সে

ইসলামের বন্ধু হয় না।

এমনকি একজন নামাজীও ইসলামের

দুশমন হতে পারে।

স্মরণ করুন, তৃতীয় খলিফা

ওসমান রা. এর কথা।

তাঁর খুনীও ছিল

একজন পরহেজগার মুসলমান।

এমনকি চতুর্থ খলিফা

শেরে খোদা হযরত আলী রা.এর হত্যাকারীও ছিল একজন মুসলমান।

অতএব, মুসলমান হলেই সে ইসলামের আপন হয় না।

গাদ্দার কোন কাফের হয় না,

আবু আবদুল্লাহর মত মুসলমানরাই

গাদ্দার হতে পারে, বেঈমান হতে পারে।

না, আর ফিরিস্তি বাড়াবো না।

শুধু

আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই,

মীরজাফরের মত মুসলমান না থাকলে

আপনাকে দুশো বছর গোলামী করতে হতো না।

শেখ আবদুল্লাহর মত মুসলমান না থাকলে কাশ্মীর আজো স্বাধীন থাকতো।

অতএব, মনে রাখবেন,

মুসলমান হলেই সে ইসলামের

স্বজন হয় না।

এমনকি সে হাফেজ ও মুসল্লি হলেও।

মুসলমান নামধারী বাদশাহদের

কারাগারেই মরতে হয়

জগতবিখ্যাত আলেমে দ্বীন ও ইমামদের।

অতএব, মুসলিম নাম নিয়ে কেউ

ক্ষমতায় বসলেই তাকে সমর্থন করা যায় না।

অতএব সাবধান,

অমুসলমান হলেই তাকে

ইসলামের শত্রু ভাববেন না।

মনে রাখবের, মুসলমান হলেই

যেমন কেউ ইসলামের স্বপক্ষ শক্তি হয় না

তেমনি অমুসলমান হলেই সে ইসলামের দুশমন হয়ে যায় না।

ইসলামকে বাঁচাতে হলে

আপনাকে এজিদের বিরুদ্ধেই

লড়তে হবে।

আর এজিদ মানেই

একেকজন ক্ষমতালোভী স্বৈরাচার।

এজিদ মানেই আল্লাহর দুশমন।

এজিদ মানেই নির্ভেজাল জাহান্নামের কীট।

২২/০৮/২০২২ - বাদ ফজর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.