আলোহীন অন্ধকারে - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৮৫
কবিতা-২৮৫ :
আলোহীন অন্ধকারে
অদ্ভুত আঁধার এসে ঘিরে ফেলেছে
সোনার স্বদেশ। আঁধার চিবিয়ে খাচ্ছে হৃদয়ের কোমলতা। এভাবেই কৃষ্ণ আঁধার গিলে ফেললো
পাকা ধানের ক্ষেত। খেয়ে ফেললো হলুদাভ সরিষা কিশোরী, উন্মাতাল
কৃষ্ণচূড়া,
আর দুর্বাঘাসের তামাম সবুজ।
মানুষ যেদিকে তাকায় দেখে পাথুরে
আঁধার। আগুনের শিখা পুড়তে পুড়তে কখন যে কৃষ্ণবরণ ধারণ করেছে টেরই পায়নি ঘুমন্ত
বাঁশঝাড়।
এ আগুন অনেক বেশি তীব্র ও
যন্ত্রণাদায়ক।
মানুষ দেখলো তার চোখ নেই।
হাত দিয়ে সে আপনজনকে খুঁজতে গেল।
কিন্তু যে মমিতেই হাত পড়ে দেখে বরফের কঙ্কাল। এ কঙ্কাল মানুষ না শয়তানের কিছুই
ঠাহর করা যায় না।
এভাবেই জন্ম নিল একটা আলোহীন
নতুন শতাব্দী। আঁধারে হারিয়ে গেল মানুষের মন। শকুনের চোখ থেকে ঠিকরে পড়া আঁধারের
বন্যায় তলিয়ে গেল সমৃদ্ধ জনপদ।
আঁধারবন্দী এ মানুষগুলো কি আদৌ
আলোর সন্ধান পাবে? নাকি তাদেরকেও দুশো বছর ডুবে থাকতে হবে এ
আলোহীন অন্ধকারে?
০৭/০৪/২০২৩ বাদ জোহর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments