মৃতের কফিনে শেষ পেরেক - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০৭৯

                                                                        

কবিতা-০৭৯ : মৃতের কফিনে শেষ পেরেক

আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি,

গণতন্ত্রের বিকট একটা লাশ পড়ে আছে ইতিহাসেরবিবর্ণ প্রান্তরে। দৃর্গন্ধে সভ্যতা অতিষ্ঠ।

মানুষ নাকে রুমাল চেপে কোন রকমে পার হয়ে যাচ্ছে সময়ের দিগন্ত।

 

এই গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদকে সারিয়ে তোলার জন্য কী না করেছে মানুষ? অবশেষে, অমানবিকতার অভিযোগে সমাজতন্ত্রকে হাসপাতালের যে মর্গে রেখে এসেছিল, সেখানেই পাঠানো হলো গণতন্ত্রকে।

 

এই সে গণতন্ত্র, আলজেরিয়ায় নির্বাচিত ইসলামিস্টরা ক্ষমতায় বসতে গেলে বন্দুকের ঘাড়ে চড়ে যে

হত্যা করেছিল শান্তির কবুতর।

 

এই সে গণতন্ত্র, যে মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কারারুদ্ধ করে ফাঁসিতে লটকিয়ে জনমতকে কবর দিয়েছিল।

 

এই সে গণতন্ত্র, বসনিয়ায় যার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে মুসলমানদের।

 

এই সে গণতন্ত্র, বিশ্বমোড়লের পিঠে চড়ে যে দাবড়ে বেড়াচ্ছে পৃথিবীর জনপদ, লোকালয়।

 

না, চীনের মসজিদের তালাগুলোর কথা ভুলে যাইনি। সামান্য একটু গণতন্ত্রের জন্য উঁইঘুর মুসলমানদের কান্নার আওয়াজ আজো ভেসে বেড়ায় হোয়াংহোর বাতাসে।

 

গণতন্ত্র এখন বুড়ো বাঘের দুর্বল হুংকার ছাড়া কিছু নয়।

গনতন্ত্র এখন থুত্থুড়ে বুড়ির অন্তিম চিৎকার।

এ পৃথিবী শাসন করার সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে তার।

 

প্রিয় বন্ধুগণ!

সমাজতন্ত্র হাসপাতালের হিমাগারে, গণতন্ত্র পঁচা লাশ হয়ে পড়ে আছে দাফনের জন্য।

কমিউনিজমের খবরও আপনারা জানেন। ইমাম শামিলের টুপীর ভেতরে সে আবার ডিম পারার চেষ্টা করছে।

এসময় পৃথিবীর ঘাড়ে চেপে বসে আছে অসহ্য স্বৈরাচারের দুঃসহ নির্মমতা।

বিশ্ব আজ আদর্শিক এতীম।

কে দেবে এ এতীমকে আশ্রয়?

সামনের রাতগুলো সে কোথায় কাটাবে?

সভ্যতা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এই ঝড়ো হাওয়ায় সে কার কাছে আশ্রয় নেবে?

 

এমনি এক দুর্যোগময় মুহূর্তে মস্কোর মসজিদে শুরু হয়েছে বিরামহীন কোরান তেলাওয়াত।

নিষিদ্ধ স্পেনে কয়েকশো বছর পর আবার ধ্বনিত হচ্ছে সুমধুর আযানের সুর।

জার্মানি এ নেদারল্যান্ডের আকাশ আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে ভেসে যাচ্ছে।

 

তাহলে কি পুঁজিবাদ ও গণতন্ত্র নিঃশেষ হতে চলেছে?

কে তাকে দাফন করবে?

কে মারবে এ দুষিত মতবাদের কফিনে শেষ পেরেক?

০৫/০৪/২০২০ ৫টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.