ঈমানের তাজাল্লি - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ২৮০
কবিতা-২৮০ :
ঈমানের তাজাল্লি
মুহাম্মদ (অপার শান্তি বর্ষিত হোক
তাঁর ওপর) একদিন বলেছিলেন, "আমার নিরাপত্তায় তোমরা জান ও মাল দিয়ে
লড়াই করছো। আজ প্রয়োজন শব্দাস্ত্র দিয়ে লড়াই করার। কেউ কি নেই কবিতা দিয়ে রাসুলকে হেফাজত
করতে এগিয়ে আসবে?" তিনি আরো বলেছিলেন, "কবিতা তীরের চেয়েও তীক্ষ্ণধার। তোমাদের কবিতা দুশমনের বুক এফোড় ওফোড় করে দেবে।"
আমার কাছে আছে সেই অমোঘ শব্দাস্ত্র।
আছে শব্দের মিসাইল।
না। আমার কাছে লগিবৈঠা নেই।
নেই খুনীদের হাতের পিস্তল। নেই বোমা।
নেই টিয়ারসেল। এমনকি আমার কাছে জলকামানও নেই।
কবির কাছে কোন আনবিক বোমা থাকে না।
থাকে না দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। থাকে না যুদ্ধবিমান। থাকে না হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেয়ার
বোমা। কবির কাছে থাকে না ফিলিস্তিনের শিশু হত্যার জন্য বুলেট বা গ্যাসবোমা।
কবির কাছে থাকে শব্দ। যে শব্দ দিয়ে
কবি বানায় শব্দাস্ত্র। বানায় সাহসের বোমা। উদ্দীপনার বেয়নেট। সৈনিকদের বানায় মৃত্যুঞ্জয়ী।
কবিরাই জোগান দেয় বিজয়ের নিশ্চয়তা দেয়া অপার হিম্মত।
দুশমনের মোকাবেলায় যদি জিততে চাও, মজুদ করো টন টন কবিতাস্ত্র।
ইথারে ইথারে ছড়িয়ে দাও কবিতার বারুদ।
যে বারুদ গুড়িয়ে দেবে দুশমনের সাহসের
সেনানিবাস। বরফের নিচে চাপা দেবে শংকিত মনোবল।
যে বারুদ সাহসের নিশান তুলে ধরবে
অকুতোভয় বীরের সামনে।
সেনাপতি শুনুন, কবিতাস্ত্র ছাড়া কখনো কোন সেনাদলকে ময়দানে পাঠাবেন না। জাগতিক অস্ত্র কখনো
বিজয় আনে না। বিজয়ের জন্য প্রয়োজন সাহসের বুলেট ও ঈমানের তাজাল্লি।
২৮/০৩/২০২৩ - বাদ জোহর
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments