সব তোমারই জন্য, নীতা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩০৪

        

কবিতা-৩০৪ : সব তোমারই জন্য, নীতা

নিরাশ হয়ো না। ঝড় আসতেই পারে।

কিন্তু সে বেশীক্ষণ থাকে না।

প্রলয়ের তান্ডব এক সময় থেমে যায়।

হেসে ওঠে সোনালী রোদ্দুর।

যে দেশে চৈত্রের খরতাপে জীবন অতীষ্ঠ হয়, সে দেশেই নেমে আসে বৃষ্টিপ্রণয়। অতএব ভয়ের কিছু নেই।

 

মানুষ অদৃশ্য দেখে না।

কিন্তু ফুলের পরাগরেনু বাতাসেই ভেসে বেড়ায়।

যে দেশে অমাবস্যা হয়, সেখানে পূর্ণিমার চাঁদও হাসে।

 

অপশক্তির দাপটে জীবন বিপর্যস্ত হতেই পারে। কিন্তু তা ক্ষণিকের।

জয় অপশক্তির নয়, শক্তিরই হয়।

অতএব এসো, যুথবদ্ধ হই।

জয় আমাদের হবেই।

 

তুমি তো জানোই, রাত্রি আসে নবীন ভোরের সম্ভাবনা নিয়ে।

ভোর হবেই। পৃথিবী আলো করে সূর্য উঠবে। পাখি গাইবে।

দুর্বাঘাসের সবুজ আবারো সিক্ত হবে শিশিরের সফেদ কণায়।

 

আস্ফালন ফুটো বেলুনের মতই উড়ে যায়।

দাম্ভিক মারা গেলে মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে। অতএব ভয় কিসের?

দেশবরেন্য নেতা মরলে জানাযায় লোক হয় মাত্র চৌদ্দজন। আর সৈনিকের জানাযায় লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে। এটাই ইতিহাস।

এভাবেই মানুষের ধিক্কার ও অভিশাপ নিয়ে উঁইপোকার খোরাক হয় যুগের ফেরাউন।

 

নিরাশ হয়ো না।

মখমল সময় আসবে রাঙা ঘোড়ায় চড়ে।

বৃষ্টি এসে ধুয়ে দেবে জঞ্জালের পাহাড়।

ফুলের সুবাসে আমোদিত হবে বধ্যভূমি।

 

নীতা শোন।পূর্ণিমা এসে ডাক দিলে দরজা খুলে বেরিয়ে এসো।

বিশ্বাস করো, মৌমাছি এসে তোমাকেই ডাকবে।

বলবে, নীতা, যাও, এই পূর্ণিমা,

এই আনন্দ নগর, সব তোমার জন্য।

সবই তোমার জন্য।

সব তোমারই জন্য, নীতা।

১০/০৫/২০২৩ বাদ ফজর

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.