আকাশ ভেঙে পড়ার গল্প - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০৩৮

                               

কবিতা-০৩৮ : আকাশ ভেঙে পড়ার গল্প

সাংবাদিকের এই এক জ্বালা, সারাক্ষণই ছুটতে হয় খবরের পেছনে।

অথবা খবর ছুটে সাংবাদিকের পেছনে।

 

এই যেমন এখন--

চর থেকে গাঁয়ে ঢুকার মোড়ে যে তালগাছটা, ওখানে আসতেই একটা ইয়া বড় শকুন পথ আগলে দাঁড়ালো।

বললাম, পথ ছাড়ো।

পথ আটকালে কেনো?

 

ভুস ভুস করে মরা গরুর দুর্গন্ধঅলা নিঃশ্বাস ফেলে সে বললো, চটছো কেন? একটু বসো না।

গল্প করি।

 

আমার গা রি রি করে উঠলো।

বললাম, কি সব যা তা বলছো?

তুমি জানো না,আমি সৃষ্টির সেরা- আশরাফুল মাখলুকাত।

তোমার মত এক কুৎসিত দর্শন শকুনের পাশে আমাকে বসতে হবে?

 

হাসলো শকুন।

বললো, সে গৌরবের জামানা শেষ হয়ে গেছে বন্ধু। আমরা শকুনরা শকুনের গোশত খাই না, এটুকু ভদ্রতাবোধ এখনো আমাদের মাঝে অবশিষ্ট আছে।

কিন্তু আদমতো এখন নিজেরাই আদমের গোশত ভক্ষণ করে।

ছি! লজ্জা করে না তোমাদের? কিসের এতো দম্ভ ও অহংকার? শুনেছি, তোমরা মা ও সন্তানের পার্থক্য ভুলে গেছো। ভুলে গেছো নারী ও পুরুষের ব্যবধান। অথচ আমরা এতোটা অসভ্য এখনো হতে পারিনি। কথা বলো, জবাব দাও।

কিসের গরিমা তোমাদের?

 

আমি তালগাছের ওপর দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

মনে হলো, এখনি আকাশটা আমার মাথায় ভেঙে পড়বে।

১২/১১/২০১৮-৬টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.