কাশফুলের সফেদ শুভ্রতা - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪১২

                 

কবিতা-৪১২ : কাশফুলের সফেদ শুভ্রতা

আমার একটা নিজস্ব চোখ চাই। চাই নিজস্ব হাত-পা। পরের পা দিয়ে আর কত হাঁটবোদিন তো কম গেল না। বছরমাসযুগ। কত নদীপ্রান্তর পার হলাম। কিন্তু মনজিলের দেখা পেলাম না।

 

পাবো কি করেআমি যা দেখি সবই তো পাশ্চাত্যের চোখ দিয়ে। মায়া মরিচীকা নদী নয়ওটা চোখের ধাঁধাঁ।

আমরা সাহিত্য ও শিল্পবোধ মাপি ওদের বাটখারায়।  ডাবের বদলে পান করি ইহুদীদের রঙিন পানীয়। আমার পেট তো খারাপ হবেই।

 

আমাদের চোখে এখনো রঙিন চশমা। আমরা দুধের রঙ দেখি লাল। ডাবের পানি লাল। আখের রস লাল।

লাল চশমা পরা লোকদের লেখা দিয়ে আমরা ভরে ফেলি সাহিত্যের পাটাতনপত্রিকার পাতা। আর কিছু একটা করে ফেললামএই তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলি।

 

নাকস্মিনকালেও আমরা এভাবে গন্তব্য খুঁজে পাবো না। পাশ্চাত্যের জুতো পায়ে দিয়ে হাঁটলে দুর্বাঘাসের শিশিরে কক্ষনো আমাদের পা ভিজবে না।

 

আমাদের এমন একটি চোখ দরকারযে চোখ পৃথিবী দেখবে কোরানের দর্শন দিয়ে। যে চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখেছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামীন।

যে চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখলে পৃথিবী হয়ে যায় অদ্ভুত এক মায়ার সাগর। আর মানুষ সে সাগরে ভাসতে থাকে জাফরান রঙ প্রেমপদ্ম হয়ে।

 

আমাদের সেই পা দরকারযে পা মানুষকে নিয়ে যায় তার আরাধ্য গন্তব্যে। তৃষিত ধরায় লোকজন খুঁজে পায় জমজমের শীতল সুপেয় পানি।

 

পৃথিবী 'মানবতা মানবতাবলে গলা ফাটায় কিন্তু সে জানে না মানবতা ইসলাম নামক বৃক্ষের সামান্য একটি ডাল মাত্র। ইসলামে কেবল মানুষই বাস করে নাএই প্রকৃতিও ইসলাম বৃক্ষেরই শাখা প্রশাখা।

এ বৃক্ষে আছে কান্ডডালশিকড়মূল। সবটা মিলেই সমৃদ্ধ এক বৃক্ষযার নাম ইসলাম। এ বৃক্ষ থেকে আলাদা করলে মানবতার ডাল শুকিয়ে হয়ে যায় বিবর্ণ কাঠ।

 

পাশ্চাত্যের লোভের জিহ্বা ছুঁড়ে ফেলে কবে আমরা আঁকড়ে ধরবো রহমতের কুসুমিত ইসলাম?

কবে নিজের পা দিয়ে হাঁটতে শিখবোপৃথিবী দেখবো কাশফুলের সফেদ শুভ্রতা দিয়ে?

১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৩; বাদ ফজর।

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.