ভালবাসার সম্রাট - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪২৩
কবিতা-৪২৩ : ভালবাসার সম্রাট
তিনি ছিলেন স্বপ্নময় জীবনের অধিকারী।
তাঁর মৃত্যুও
হয়ে রইলো স্মৃতিময়।
তাঁর স্মৃতিময়
জীবন ও মৃত্যুর স্বাক্ষী হয়ে রইলো এক প্রাণময় সাদা পরী। পৃথিবীকে তিনি জানিয়ে দিলেন
সেই বিষাদিত খবর, ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করার পরপরই হাসপাতালের
সফেদ বিছানায় পবিত্র সাদা পাঞ্জাবী লুটিয়ে পড়লো অন্তিম শয়ানে।
কেঁপে উঠলো
বাংলার সবুজ জমিন। ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ। স্বাক্ষী হয়ে রইলো বাংলার আকাশ, বাতাস।
স্বাক্ষী
হয়ে রইলো রমনার বটমূল।
স্বাক্ষী
হয়ে রইলো পিজির প্রতিটা ইটপাথর।
স্বাক্ষী
রইলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উঁচুমাথা মিনার।
না। শুধু
জমিনই কাঁপেনি। কেঁপেছে মানুষের হৃদয়। কেঁপেছে কোরআনের পাতা আর ভয় ধরিয়ে দিয়েছে সীমারের
অন্তরে।
তাঁর কবরকেও
ভয়ে পাহারা দিয়েছে মুয়াবিয়ার নাদান সন্তান।
হায়, একজন নিরস্ত্র শহীদের ভয়ে এতোটা উতলা হয় জালিম? আর হবেই
না কেন?
এবার যে
খুনীর সিংহাসনে প্রলয়ের ঝড় বইতে শুরু করেছে। ঝড় উঠেছে রাজনীতির কুটিল রাজপ্রাসাদে।
গদীর পায়াগুলো তার গালে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছে। জালিম ভাবছে, এই রে, এলো বুঝি মরণ।
মানুষের
আগমন নির্গমনে অনেক কিছু ঘটে। কারো আগমনে আলবুরজের চূড়া ভেঙ্গে পড়ে। কারো বিদায়ে কেঁদে
ওঠে বঙ্গোপসাগর।
আর ওদিকে
জান্নাতি মেহমানকে বরণ করার জন্য কবির চোখ দেখতে পায় আসমানে আসমানে চলছে বরণ উৎসব।
কে আসছে, কে আসছে, বলে সাড়া পড়ে গেছে ফেরেশতা মহলে। আতরের মৌ মৌ
ঘ্রাণে মেতে উঠেছে আরশ মহল্লা। একজন নবী প্রেমিকের জন্য কি অনিন্দ্য আয়োজন।
মানুষ যদি
জানতে পারতো সাঈদীর মত ব্যক্তিরাই মানুষের ভালবাসার সম্রাট হয়ে বেঁচে থাকে শতাব্দীর
পর শতাব্দী।
কোরআনের
সামান্য খাদেম যদি সম্মানের এ বিরল মুকুট পায় তবে কোরআন ও কোরআনের বাহকের সম্মান আসমান
ভেদ করে কোন সীমাহীন সীমানায় পৌঁছে যেতে পারে একটু ভাবুন।
২১শে অক্টোবর ২০২৩; বাদ ফজর।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments