স্বৈরাচারের ঈদ - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪১৯

 

কবিতা-৪১৯ : স্বৈরাচারের ঈদ

হাহাকারের পোলাও রেঁধেছি, হৃদয়ের রক্তক্ষণ দিয়ে

রেধেঁছি জর্দা সেমাই,

চোখের দুধে ফিরনি পায়েস

খোকা তুই আসবি না!

 

তুই খুব পছন্দ করিস বলে

তোর জন্য রেধেঁছি বিলাপের গোশত,

কষ্টের নুনমাখা ভুনাখিচুড়িবেদনার সালাদ

খোকা তুই আসবি না মায়ের কাছে?

 

কান্নার অশ্রু দিয়ে ধুয়েছি বাসন কোসন

ডাইনিং টেবিল সাজিয়ে রেখেছি ভয়ার্ত আর্তনাদে

খোকা তুই কখন আসবি?

 

খোকা আমার চেতনার কোষে আঙুল রেখে

ফিসফিসিয়ে বলেকেমন করে আসবো মা

আমি তো এবার নিজেই কোরবান হয়ে গেছি।

তুমি কি জানো না গণতন্ত্রের মানসকন্যা

গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে খেয়ে ফেলেছে তোমার ছেলে?

আমার রক্ত দিয়ে রেধেঁছে জর্দা সেমাই

চর্বি দিয়ে ফিরনি পায়েস এবং গরু ও মহিষের বদলে

মানুষের গোশ্‌ত দিয়ে সেরেছে ঈদ!

 

সাঈদীর প্রহসনের নাটক ও ফাঁসির দন্ডাদেশের পর

সারাদেশে পাখির মত গুলি করে মেরে ফেলেছে

শত শত যুবক! শাপলা চত্ত্বরে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে।

লাশলাশআর লাশ

সেই লাশের মিছিল এখন ছুটে চলেছে

জান্নাতের পথে।

মাগোসেই মিছিলের একজন হিসাবে

আমার যে দাঁড়াবার সময়ও নেই!

 

মামাগোতোমার চোখের আগুন যদি এখনি

স্বৈরাচারের গদি পুড়িয়ে দিতে না পারেতবে

বাংলার সব কটি ঘরের ঈদ সে একাই খেয়ে ফেলবে।

১০ই অক্টোবর ২০২৩; বাদ ফজর।

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.