আনাড়ি বালক - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৪৪
কবিতা-৪৪৪ : আনাড়ি বালক
দোহাই লাগে
হে মর্মর
পাথরের অট্টালিকার বাসিন্দা,
এত বড় ঝড়
বয়ে যাওয়ার পরও তোমরা
এ কোন ঘুমে
নাক ডাকছো?
আবদুল্লা
বিন উবাইয়ের কথা
তোমরা কি
ভুলে গেছো?
তার কি যোগ্যতা
কম ছিল?
শাহাদাতের
তামান্না নিয়ে যুদ্ধের ময়দদানে যাচ্ছিল যে কাফেলা
সেই কাফেলা
থেকে বিপুল সংখ্যক মুজাহিদকে ভাগিয়ে নিয়েছিল কে?
তোমরা কি
রাসুলের চেয়ে যোগ্যতর মনে করো নিজেদের?
বিগত এতো
বছরে তোমরা কি কোন মুসলমানই বানাতে পারোনি,
যে সাহিত্য
সংস্কৃতির ময়দানের হাল ধরতে পারে।
শত শত কর্মীর
কষ্টের টাকায় যে পত্রিকা চলে তার সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক বানাও বহির্বাটির লোক এনে, যে কখনোই তোমার ঘরে
ঢুকতেও রাজি হয়নি?
যোগ্যতাই
কি সব?
দামী পাথরগুলো
নিয়ে একদিন সে চম্পট দেবে না, একদিন সে উবাই হবে না,
সে নিশ্চয়তা তোমাকে কে দিল?
তোমাদের
কেন্দ্রীয় কমিটির গোপন সভায় সে কি করে যায়।
তার এতই
যোগ্যতা, সে গাছের টাও খায় নিচের টাও কুড়ায়, আর তোমাদের
পরিকল্পনা জায়গামত সরবরাহ করে, তবু তোমাদের কাছে সে হয়ে যায় মহান
বুজর্গ।
বিশেষ এলাকা
থেকে তোমাদের সবকটি মাথা চড়া দামে কিনতে হয় কেন?
ভাবছো, ঘরে আগুন লেগেছ, এইতো আলু পোড়ানোর মোক্ষম সময়।
ঘর জ্বলে
জ্বলুক।
ঘরের ছেলেরা
না খেয়ে আছে থাক, চাকরী পাবে যারা চাটুকার তারা। কারণ ওরা বলেছে,সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঝিনুক এনে দেবে।
এই আশাতেই
থাকো তোমরা।
স্বপ্ন গোল্লায়
যাক। এসো, এসো, আমরা যে যেভাবে পারি
কোম্পানী খুলি। আর তাতে বসিয়ে
দেই কিছু
আনাড়ি বালক।
২৯শে
জানুয়ারী ২০২৪; রাত
৪টা।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments