সূর্যঢাকা চাদর - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৯১
কবিতা-৪৯১ : সূর্যঢাকা চাদর
সূর্যকে কখনো চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। তবু কেউ কেউ সে চেষ্টা করে।
করে তার
সামর্থ্য দিয়ে, ক্ষমতা দিয়ে।
সূর্য মানুষের
নীচতা দেখে হাসে,
বোকামী দেখে হাসে। আর মানুষ হাসে তার সফলতা দেখে। কিন্তু চেয়ারের
ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী হয় না।
সূর্যকে
মানুষ ফাঁসি দেয়। কারান্তরালে ঢুকায়। সমন জারি করে তাকে সরিয়ে দেয় মিডিয়া থেকে। তবু
সূর্য আলো দেয়। সে তার কাজ বন্ধ করে না। সূর্য অন্তরালে গেলে মানুষ সে সূর্যের কথাই
মনে করে বেশী করে। ভালবাসা ঢেলে দেয় হারিয়ে দেয়া সূর্যশহীদদের জন্য।
সূর্য সচল
ও নিরব থেকে কাজ করে যায়। সে কারো নিন্দা বা প্রশংসার তোয়াক্কা করে না। মানুষ একদিন
তার নীচতা সঙ্গে নিয়ে চলে যায় কবরে। তারা জানে না,হিংসা ও ঈর্ষার চাদরে সূর্য ঢাকা
যায় না। বরং এ প্রচেষ্টাই মানুষের অন্তরে জমা করে ঘৃণার পাহাড়। যার অতলে ডুবে মরে নিকৃষ্ট
সাদ্দাত।
স্বার্থ
মানুষকে অন্ধ করে দেয়। লোভের চাঁদর মানুষকে অন্ধ বানায়। তবু সূর্য আসে আলো হাতে। সূর্য
কখনো অন্ধ হয় না। রাতের আঁধারে সূর্য বিশ্রামে গেলে সভ্যতা অন্ধকারে ডুবে যায়। তেমন
আঁধার পেলে মন্দ ইচ্ছেরা পাখা মেলে। চোরের উপদ্রব বাড়ে। পৃথিবী ঢুকে যায় স্বার্থান্ধ
বাজারে।
তবু কিছু
কিছু মানুষ অহেতুক চাদর মেলে ধরে সূর্য ঢাকার জন্য। তারা ক্ষমতাবলে প্রতিভা মারতে চায়।
ফুলের সৌরভ ঢাকতে চায়। ক্ষমতা থাকলেও সুন্দরের বাগানের গেট সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত
করে না। সাদ্দাতের মত বিকল্প বেহেশত বানাবার চেষ্টায় তৎপর তারা।
আঁধার রাতে
বাতি না জ্বেলে,
উজ্জ্বল চন্দ্রগোলককে দূরে ঢেলে কতদূর যেতে পারবে তারা? কেউ না কেউ
একদিন স্বপ্নবাতি জ্বালবেই। চোর ও দুর্নীতিবাজদের সুবিধার জন্য সূর্য আসা কখনো বন্ধ
রবে না।
১৮ই মে ২০২৪; বাদ এশা।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments