সুন্দরের স্বপক্ষে এক হও - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪২৬
কবিতা-৪২৬ : সুন্দরের স্বপক্ষে এক হও
যে দিন তুমি পৃথিবীতে প্রথম পা রেখেছো,
সেদিন পৃথিবী
অনেক কিছু জেনে গেছে, যা তুমি জানো না।
তুমি জানো
না, কবে তুমি মারা যাবে।
জানো না, কতদিন বাঁচবে তুমি।
মানুষ কিছুই
জানে না।
জানে না, কোথায় থাকবে, কি খাবে?
কিন্তু পৃথিবী
সব জানে।
ভাগ্যকে
যদি পাল্টানো যেতো,
কোন স্বৈরাচার
মারা যেতো না।
যত টাকা
আর সম্পদ লাগে সর্বস্ব দিয়ে সে তার হায়াত বাড়িয়ে নিতো।
কিন্তু না।
কারো হায়াত কেউ এক সেকেন্ডও বাড়াতে পারে না।
যার মৃত্যু
আকাশে সে আকাশেই মরে। পানির তলে মৃত্যু থাকলে সে জমিনের ওপর মরতে পারে না।
তুমি যখন
মারা যাবে তখন কেউ তোমার সঙ্গী হবে না।
তাহলে আমি
যদি বলি, তুমি এক নিঃসঙ্গ পথিক। মায়ার এ ভুবনে
আপন বলতে
তোমার কেউ নেই।
মা, বউ, কেউ না,
তাহলে কি
ভুল বলা হবে?
গুলিতে ঝাঁঝরা
হয়ে মানুষ বাঁচে নাই?
লড়াইয়ের
ময়দান থেকে মুজাহিদ বেঁচে ফিরে আসে না?
বিদেশে চিকিৎসা
করাতে গিয়ে কেউ কি লাশ হয়ে ফেরে নাই।
তবে আর ভয়
কি?
কে কবে মরে
নাই? কে মরবে না?
সবাই যেমন
যায় আমিও সেভাবেই যাবো।
তবে বীরের
মত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে অসুবিধা কি?
প্রিয় ভাই
ও বোনেরা,
তবে চলো।
চলো,
এ জীবন সুন্দরের
জন্য বিলিয়ে দেই।
মহৎ ও কল্যাণের
জন্য বিলিয়ে দেই।
পবিত্রতার
জন্য বিলিয়ে দেই।
মন্দ সরাও, মন্দ। পাপ সরাও, পাপ।
পৃথিবীর
সব আবর্জনা এসো ফেলে দেই মহাসাগরের মহানর্দমায়।
সূর্যকে
ডাকো। বলো, মামা, তোমার তাপ তো পাপকে
পোড়ানোর জন্য।
বৃষ্টির
পানি তো পঙ্কিলতা ধুয়ে দেয়ার জন্য।
তুফান তো
অন্যায়কে উড়িয়ে নেয়ার জন্য।
তুমি হাত
লাগাও। সমগ্র পৃথিবী তোমার হয়ে যাবে। নিঃশ্বাসের বিষ শুষে নেবে প্রমিত বৃক্ষ।
বাতাস তোমার
ফুসফুসে ভরে দেবে বিশুদ্ধ ও নির্মল হাওয়া।
হে মানুষ, ভাল যদি কিছু নাও করতে পারো,
অন্তত মন্দ
তাড়াও।
যুদ্ধ করো
অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
অসততার বিরুদ্ধে।
সুন্দরের
স্বপক্ষে এক হও সকলে।
১৫ই
নভেম্বর ২০২৩; বাদ ফজর।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments