অনন্ত মায়ার ভান্ডার - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৯৫

                          

কবিতা-৪৯৫ : অনন্ত মায়ার ভান্ডার

যারা ইশারা বুঝে না তাদের প্রেম করার দরকার কি?

যারা নতুন সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে, তারা কি অন্ধ, না, ভীতু?

বড়শির টোপ গিললেও তারা যদি বড়শি টেনে না তোলে তবে তাদের কি বলা যায়? আহাম্মক না বোকা?

 

তারা কল্পনায় সমাজ বিপ্লবের স্বপ্নে ভেসে বেড়ায়, কিন্তু যদি বলো, মিছিলে চলো, তারা পালিয়ে বেড়ায়।

যদি বলো, অমুক একটি ভাল কাজ করেছে, চলো তাকে উৎসাহ দিয়ে আসি, তারা চোরা কুঠরিতে ঢুকে যায়। তাহলে সমাজ পাল্টাবে কিভাবে? সমাজে ভাল কাজের বিস্তার ঘটবে কিভাবে?

 

ফেসবুকে তারা কোন কমেন্ট করেন না। ভাবেন, যদি লোকে জেনে ফেলে আমি ফেসবুক চালাই? আরে, এতই যদি ইজ্জতের ভয়, তবে আপনি আমার ফ্রেন্ড হলেন কি করে? আমি কি জানি না, আপনিও আমার মত অনবরত ফেবু চালান?

 

বিপ্লবের জন্য যে কবিতা লেখা হয়, তাতেও আপনি কমেন্ট করেন না।

এটা কি অসতর্কতা, না হীনমন্যতা? সমাজ বিপ্লব কি আপনি একাই করে ফেলবেন? কবি ও লেখকদের কি দরকার নেই?

 

আপনাদের এ ধরণের আচরণের জন্যই আজ সমাজের অধিকাংশ কবি সমাজতন্ত্রের গুণ গাইছে, পুঁজিবাদের হালুয়া রুটি খাচ্ছে। তারা অবলীলায় জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে। আপনার বিবেক কি তাতে কাঁদে না?

 

সামান্য একটি কমেন্ট করে আপনি তাকে দেখাতে পারেন জান্নাতের পুষ্পোদ্যান। তার দৃষ্টিকে টেনে নিতে পারেন আরশ মহল্লায়। আপনি না করলে কে করবে এই কাজ?

 

হাসসান বিন সাবিতকে নবীজি রাজ উপঢৌকন উপহার দিয়েছিলেন, মসজিদে নববীতে আলাদা মঞ্চ বানিয়ে দিয়েছিলেন, বানিয়েছিলেন শায়েরুন্নবী, এসব কথা খালি পড়লেই হবে, না আমলও করতে হবে?

 

আসুন, বেহুদা তর্কে না জড়িয়ে সবার হাতে তুলে দেই রজনীগন্ধার সৌরভ ও লাল টুকটুকে গোলাপ।

বুকে একটু সাহস সঞ্চয় করে হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলি, নিজেও পালন করি কুতুবের মত দায়ীর ভূমিকা।

আল্লাহর প্রিয় খলিফা হিসাবে তার সমুদয় সৃষ্টির জন্য ছড়িয়ে দেই অনন্ত মায়ার ভান্ডার।

১৯শে মে ২০২৪; বাদ মাগরিব।

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.