ভালবাসার ঘর - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৮৯
কবিতা-৪৮৯ : ভালবাসার ঘর
তুমি কাছে না থাকলে আমার মন কেমন কেমন করে।
সারাক্ষণ
তোমাকে কাছে পেতে মন চায়।
তোমার চটুল
চাহনী, কোকিলের মত সুমিষ্ট স্বর, কুয়াশা সদৃশ স্পর্শ, মান অভিমানে ভরা হৃদয়ের জন্য এ মন
হাহাকার করে। কেন এমন হয়?
তুমি কি কোন ভালবাসার সরোবর?
মন? কিসের মন? কোথায় মন?
আমার বিস্তৃত
অঙ্গ ঘেটে কোথাও মনের দেখা পেলাম না। কবিরা বলে, প্রেমের জন্য হৃদয়ের ভূভাগ চৌচির
হয়। হৃদয় কোথায়?
প্রেমের
জন্য মানুষ ঘর ছাড়ে,
জীবন দেয়। যেখানে এ প্রেমের বাস, সে মন কি
কেউ দেখে?
আমার হাত
আছে, পা আছে। আছে চক্ষু,
কর্ণ, নাসিকা। মাথার ওপর চুলও আছে, যেখানে টোকা দিলে টের পাই না। কেটে
নিলে ব্যথা পাই না। অনুভূতিতে কোন শিহরণ জাগে না।
অনুভূতি
কি জিনিস?
সেও তো সারাক্ষণ
অদৃশ্য থেকে বাতাস করে আমাকে। আমাকে হাসায়, আমাকে কাঁদায়। তবু তাকে দেখি না কেন?
তোমার জন্য
আমার মন কেমন কেমন করে।
এর নাম কি
প্রেম? ভালবাসা? বুঝি না কিছু। আকাশের চাঁদ কি বুঝে?
পৃথিবীতে
কত মানুষ আছে। সবাইকে দেখার জন্য মন তো এমন আকুলি বিকুলি করে না?
এই যে চোখ, সে কতটুকু
দেখতে পারে? মানুষ তো আর্শী ছাড়া নিজের পিঠটাও দেখে না। কতটুকু দেখে মানুষ? কতটুকু সে
অর্জন করতে পারে?
তোমার কথা
বাদ দাও।
সন্তানের
জন্য ভালবাসা, মায়ের জন্য ভালবাসা বলে কি কিছু নেই পৃথিবীতে?
ভালবাসা
ছাড়াই কি দেশের মানুষ প্রাণ দেয়? ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আসমানের চাঁদ?
কে দেয় এই
ভালবাসা, কে দেয় এই প্রেম?
নাস্তিকদের
জন্য দুঃখ হয় আমার। তারা নাকি না দেখে কিছু বিশ্বাস করে না।
মন কি দেখে
তারা? তবে আল্লাহকে বিশ্বাস করতে বাঁধে কেন?
নাকি তারা
বাস করে ভালবাসাহীন কোন পৃথিবীতে?
যদি ভালবাসা
না থাকে, আশা ও স্বপ্ন না থাকে,
তবে মানুষের বাঁচার দরকার কি?
যদি প্রিয়জনের
কাছে নিজেকে সঁপে দিতে না পারে তবে মানুষ বাঁচে কেনো?
১২ই মে ২০২৪; বাদ মাগরিব।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments