বিপন্ন হরিণ - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৬৩

           

কবিতা-৪৬৩ : বিপন্ন হরিণ

আমি সেই ভীতচকিত সন্ত্রস্ত হরিণ শাবককে দেখলাম, যার ডানদিকে পাহাড়, বামে সমুদ্রের তরঙ্গমালা, সামনে রাবিন্দ্রিক অরি, পেছনে মগের মুল্লুক। পায়ের নিচে কর্দমাক্ত মৃত্তিকা।বন্দী হরিণের কোন দিকে যাওয়ার পথ নেই।

 

তার দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ানক ত্রিশূল। ধেয়ে আসছে মুক্ত কৃপাণ। তবু সে বাঁচতে চায়। আমি তাকে কোনদিকে যেতে বলবো? বরফ পাহাড়ে সে ঠান্ডায় মারা যাবে, নাকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে?

 

হে প্রভু, তুমি ওপর থেকে রহম না ঢাললে তার বাঁচার কোন আশা নাই।

কিন্তু সে নিরাশ হতে জানে না। সে আশাবাদী।

 

যেখানে তুমি আছো, সেখানে তার ভয়ের কিছু নাই।

হরিণ শাবকটি তার দুর্বল শিঙে আক্রমন রোখবার ভঙ্গি করলো। সহসা হাজার হাজার শিঙ ফুটলো তারার মতো। তার পায়ের নিচের মৃত্তিকায় লেপ্টে থাকা দুর্বাঘাস বললো, ভয় নেই, আমরা আছি।

বিহঙ্গ কুল গান ধরলো, সারে জাহাঁ হামারা।

 

রহমতের বৃষ্টি ঝরলো তিনশ তেরজন বদরিয়া কোকিলের ছাতাহীন মস্তকে।

এভাবেই বেঁচে যায় বিপন্ন হরিণ।

২০শে জানুয়ারী ২০২৪; বাদ ফজর।

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.