মাঝে মাঝে মনে হয় - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৪৬৪
কবিতা-৪৬৪ : মাঝে মাঝে মনে হয়
মাঝে মাঝে মনে হয়
মাঝে মাঝে
মনে হয়
এ পৃথিবী
আমি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলি। কি দরকার এ পৃথিবীর? পৃথিবী তো মানুষের জন্য।
এখন কি কেউ
মানুষ আছে?
রাসূলের
পথে কাঁটা দিত যে বুড়ি,
সে বুড়িকে
সেবা দিয়ে সুস্থ করেছিলেন আল্লাহর রাসূল। আমাদের নবী। আমাদের নেতা। রাহমাতুল্লিল আলামীন।
মানুষ তো ছিলেন তিনি।
শত্রুকে
যে ভালবাসতে পারে না
সে মানুষ
হতে পারে না। যার সাথে মতের মিল নেই তাকে যে ভালবাসতে পারে না সে মানুষ হতে পারে না।
তাহলে পৃথিবী
কি এখন শকুন ও শৃগালের চারণক্ষেত্র।
চারদিকে
হানাহানি, দ্বন্দ্ব, সংঘাত। চারদিকে মারামারি, যুদ্ধ।
চারদিকে
হাবিল ও কাবিলের লড়াই। এটা কোনো পৃথিবী হলো?
মানুষ নষ্ট
করছে প্রকৃতি। ধানের ক্ষেতে বানাচ্ছে সুরম্য অট্টালিকা। দুষিত করছে সাগরের উপকূল।
চুরি করছে
ঘুঘুর ছানা। নষ্ট করছে ফলের বাগান। নষ্ট করছে ফুলের সৌরভ। গাছ কেটে বানাচ্ছে পাকা সড়ক।
মনুষ্য বাসের অযোগ্য করে তুলছে পৃথিবী।
ওরা কেড়ে
নিচ্ছে আমাদের লজ্জা শরম। নারীর ইজ্জত আজ ভূলুন্ঠিত। লোভের অজগর ক্রমে বড়ো হচ্ছে। হিংসা
বাড়ছে। আদব লেহাজ নষ্ট করছে প্রগতি। বিধংসী কামানের চেয়েও ক্ষতিকর ঈর্ষা ছড়িয়ে পড়ছে
সর্বত্র। এমন পৃথিবী কে চায়?
তাই, মাঝে মাঝে
মনে হয়
এ পৃথিবী
আমি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলি। দেশে দেশে যুদ্ধ, ধর্মে ধর্মে সংঘাত, জাতিতে জাতিতে
বিদ্ধেষ, এসব কার দান?
কতিপয় অমানুষ
পৃথিবী তছনছ করে দিচ্ছে,
আমরা তাকিয়ে দেখছি। আমাদের মধ্যে কি জেগে উঠবে না পৌরুষ? দুর্নীতি
ও অনাচার দেখেও কি আমরা প্রতিবাদ করতে শিখবো না?
এই পাহাড়
নদী ঝর্ণাধারা তবে কিসের জন্য? এই উলঙ্গ প্রগতি আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে চায়?
সূর্য উঠার
পরও যখন মানুষ চোখ বন্ধ করে অন্ধকারকেই ভালবাসে, তখন আমার ইচ্ছে করে এই অসভ্য পৃথিবী
ধংস করে দেই।
এ পৃথিবী
তো এখন মানুষ নয়,
বেশ্যার ঘরের মত অন্ধকার।
নিজস্ব আবাস
বাদ দিয়ে বেশ্যার ঘরের মত পৃথিবী আমার কি দরকার?
তাই, মাঝে মাঝে
ইচ্ছে হয়
এ পৃথিবী
আমি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলি।
২৩শে
এপ্রিল ২০২৪; বাদ জোহর।
অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments