আকাশের কান্না - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ৩৪৪

               

কবিতা-৩৪৪ : আকাশের কান্না

আকাশটা কাঁদছিল

সে কান্না শুনে জেগে উঠলো কতিপয় ঘাসফুল।

বললো, কাঁদো কেন? আকাশ

কান্নাকাতর কন্ঠে বললো, আদমের বোকামী দেখে।

 

আদমের বোকামী?

শুধু কি বোকামী? সাথে পাগলামীও আছে।

তুমি তো জানো, এই আদমের ওপরই

আজো ন্যস্ত খেলাফতের দায়িত্ব।

 

এজন্য তাদের দেয়া হয়েছে পাখি ও প্রজাপতি।

বিচিত্র ফুলের সৌরভ ও সৌন্দর্য।

বৃক্ষপত্রে কিশোরীর চপলতা।

পাহাড়, নদী, বনের অবারিত যৌবন।

জোস্নাধোয়া মায়া ও প্রেমবতী নদী।

যুগলবন্দী সুখ। আরো কত কি!

 

কিন্তু মানুষ? প্রেম করা বাদ দিয়ে

দলে দলে খুনী ও হন্তারক হয়ে যাচ্ছে।

ফুলের চাষ বাদ দিয়ে চাষ করছে মারণাস্ত্র।

অত্যাচারের জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে সামান্য ঝিঁঝিঁ পোকা।

 

কারাগারে চলছে জল্লাদনৃত্য।

প্রহসনের বিচার শেষে চাঁদ দ্বিখন্ডিত করা হচ্ছে।

এসবের মানে কি জানো?

ঘাসফুল বললো, কি?

এখনি নেমে আসবে আল্লাহর গযব।

আল্লাহর আদরের সৃষ্টি মানুষের ওপর

পৈশাচিক নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে পৃথিবীর

এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াবে আজরাইল।

 

সেই গযব লাশের পর লাশে ভরে দেবে পৃথিবী।

মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে ভালবাসা।

চলে যাবে প্রেম ও স্নেহ।

চলে যাবে মায়া ও মমতা।

চলে যাবে শ্রদ্ধার সৌরভ।

 

চাঁদের ফাঁসি হলে জোস্নারা হারিয়ে যায়।

জোস্নারা চলে গেলে পথে নামে দাজ্জাল আঁধার।

সে আঁধারে খুলে যায নরকের দরজা

বোকা আদম তখন নরকের কীট হয়ে

ঢুকে যাবে জাহান্নামের অন্ধকুঠরীতে।

 

আমি কাঁদছি  আদমের সে দুঃসহ

পরিনতির কথা ভেবে। ঢেউয়ের মত

ক্রমাগত আছড়ে পড়া গযবের কথা ভেবে।

 

হায়,মানুষ কি বুঝবে না, কী ভয়ানক সে দিন, কী ভয়ানক সে রাত।

২১শে জানুয়ারী ২০২১ : ৭টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.