ডাস্টবিনে শিশুর কান্না - অপ্রকাশিত কবিতাঃ ০৭৬

                                                                     

কবিতা-০৭৬ : ডাস্টবিনে শিশুর কান্না

পৃথিবী নামক একটা গ্রহে আমরা বসবাস করছি। আমাদের দৃষ্টি অপলক তাকিয়ে আছে সামনের দিকে।

মনে হতে পারে, কোন প্রাচীন ইতিহাসের ভয়ংকর দৃশ্যাবলী দেখছি আমরা।

না, এটা কোন প্রাচীন ইতিহাস নয়।

যা দেখছি, সব আমাদের চোখের সামনেই সংগঠিত হচ্ছে।

 

আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের সামনেই পরাজিত হয়ে গেছে আইয়ামে জাহেলিয়াত

আইয়ামে জাহেলিয়াতে কন্যা শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো, আর আওয়ামী জাহেলিয়াতে মানুষ হয় আরো জঘন্য।

নিষ্ঠুর, ইতর ও দয়ামায়াহীন।

 

এখানে পিতা হয় ধর্ষক আর ধর্ষিতা হয় তারই ঔরসজাত কন্যা। দুর্বৃত্ত পিতা জৈবিক চাহিদা ও লালসা মিটানোর জন্য আপন কন্যাকে বেছে নেয়।

হায়রে তথাকথিত প্রগতিশীল আধুনিক সভ্যতা!

 

এখানে মা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে সেই সন্তানতুল্য জামাইকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

নোংরামীরও একটা সীমা থাকে।

কিন্তু এ বর্বর সভ্যতা অসভ্যতাকেও হার মানায়।

মানুষ অমানুষে পরিনত হয়।

বিয়েশাদীর বদলে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে  লিভ টুগেদারে।

আমি ভাবি, এ প্রগতিশীল সভ্যতা আমাদের আর কতদূর নিয়ে যাবে? মানুষকে অমানুষ বানানোই কি এ সভ্যতার কাজ?

 

ভাবতে অবাক লাগে, ভার্সিটির শিক্ষক, মাদ্রাসার আলেম, ইয়াতীমখানার হুজুর, এই ধরনের লোকেরা কোন রুচিতে আপন ছাত্রদের বলাৎকার করে?

 

আর কি দেখার বাকী রইলো?

কী দেখাবে এই প্রগতিশীল সভ্যতা?

ডাস্টবিনে সদ্যোজাত মানব সন্তানের 'ওয়া ওয়া' চিৎকার আমরা আর

কতদিন সহ্য করবো?

০১/০৪/২০২০ ৩টা

অপ্রকাশিত অন্যান্য কবিতার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

No comments

Powered by Blogger.